শ্যাম্পুর সাথে চিনি ও লেবুর ব্যবহার

আমরা আজকে জানবো শ্যাম্পুর সাথে চিনি ও লেবুর ব্যবহার সম্পর্কে। এছাড়াও অ্যালোভেরা ও লেবু দিয়ে চুলের যত্ন কিভাবে করতে হয় সেটাও আমরা আজকে জানব। আর সঠিকভাবে জানতে হলে আপনাকে পুরো পোস্টটা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত খুব মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাহলে আপনি সঠিকভাবে বুঝতে পারবেন।
চুলের যত্নের জন্য আমরা কত কিছুই না করি। বিভিন্ন ধরনের শ্যাম্পু কন্ডিশনার প্রোটিন ট্রিটমেন্ট এছাড়াও পার্লারে গিয়ে চুলের বিভিন্ন ধরনের ট্রিটমেন্ট নিয়ে থাকি। তারপরও দেখা যায় যে আমরা সঠিকভাবে চুলের যত্ন নিতে পারি না।

ভূমিকা

চুলের যত্নে লেবু বিশেষভাবে কাজ করে। কারণ লেবুতে রয়েছে বেশ কিছু উপাদান যেমন ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম ভিটামিন সি অ্যাসিড ও সাইটিস। আপনি চুলে যে ধরনের শ্যাম্পু ব্যবহার করেন সেটি যদি ন্যাচারাল হয়ে থাকে তাহলে আপনার চুল অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। এছাড়াও চুল সুন্দর দেখাবে চুলের ধুলোবালি জমবে না আপনার চুলকে ঘন ও আরো কালো দেখাবে। আমরা আজকে জানবো শ্যামপুর সাথে লেবুর ব্যবহার সম্পর্কে।

শ্যাম্পুর সাথে চিনি ও লেবুর ব্যবহার

চুলের যত্ন নিয়ে আমরা অনেকেই চিন্তায় থাকি। চুলের যত্নে আমরা হাজার হাজার টাকা খরচ করে পার্লারে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের ট্রিটমেন্ট নিয়ে থাকি তারপরেও দেখা যায় চুলের কোন পরিবর্তন আসে না। আমরা যদি কিছু ঘরোয়া উপায়ে চুলের যত্ন নেই তাহলে আমাদের চুল অনেক বেশি ঘন ও কালো হয়ে যাবে। চুলের যত্নে শ্যাম্পুর সাথে চিনি ও লেবু ব্যবহার করলে চুলের সৌন্দর্য বেড়ে যাই।

আসুন তাহলে শ্যাম্পুর চিনির ব্যবহার জেনে নিই। অনেকে আছে শ্যাম্পু করার পরও দেখা যায় চুলের উজ্জ্বলতা আসে না সেই জন্য শ্যামপুর সাথে এক চামচ চিনি ও লেবুর রস ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপরে আলতোভাবে মাথাতে মেসেজ করতে হবে আস্তে আস্তে ত্বকের মৃত কোষগুলো পরিষ্কার করে ফেলবে। ফলে আপনার চুলে খুশকি সমস্যা থাকলে তা দূর হয়ে যাবে। এবং চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে চুল ঝরে পাড়াও কমে যাবে।

অ্যালোভেরা ও লেবু দিয়ে চুলের যত্ন

প্রাচীন কাল থেকে এলোভেরা ব্যবহার হয়ে আসছে অ্যালোভেরা একটি ভেষজ উপাদান। অ্যালোভেরার পাতার ভেতরে জেলের মতন পিচ্ছিল একটি শ্বাস থাকে। অ্যালোভেরার জেল মশ্চারাইজার হিসাবে বা ক্রিম হিসাবে ব্যবহার করা যায়। অ্যালোভেরার জেল মাথার তালুতে ভালোভাবে মেসেজ করুন ২ ঘন্টা রেখে তারপরে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন নিয়মিত করলে আপনার চুল পড়া বন্ধ হবে।

পাশাপাশি নতুন চুল গজাবে। চুলের সুস্থতায় এলোভেরার সাথে শ্যাম্পু ও লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও আপনি চাইলে চুল পরিষ্কার রাখতে শ্যাম্পুর বদলে এলোভেরা ব্যবহার করতে পারেন। নারিকেল তেল লেবুর রস ও নারিকেলের দুধের সঙ্গে যদি অ্যালোভেরা মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করেন তাহলে আপনার চুল সতেজ থাকবে।

লেবু আর চিনি মুখে দিলে কি হয়

অনেকেই দেখা যায় তাদের স্কিন কেয়ার করে প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়ে হাতের কাছে তেমন কিছু উপকরণ ক্লিনজার টোনার ফেস মার্ক হিসাবে ব্যবহার করেন। সবারই কমবেশি ধারণা আছে প্রাকৃতিক উপাদানে ত্বকের কোন রকমের ক্ষতি হয় না। ত্বকের কালো দাগ সব দূর করতে অনেকেই দেখা যায় যে লেবুর সরাসরি মুখে ব্যবহার করেন কিন্তু আপনারা জানেন কি লেবুতে রয়েছে অত্যন্ত এসিডিক।

একারণে আমাদের ত্বকের পিএস ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আর এর জন্য দেখা যায় অনেক সময় ত্বকে এলার্জি, অতিরিক্ত শুকনা ভাব, লাল ভাব, ত্বকের চামড়া ওঠার সমস্যা দেখা দিতে পারে। আপনি চাইলে যে কোন ফেস মার্কসের মধ্যে এক থেকে দুই চামচ লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য চিনি লেবুর রস মিশিয়ে একটি ফেস স্ক্রাব তৈরি করে ব্যবহার করুন তাহলে ত্বকের কালো দাগ থাকবে না। এছাড়া ত্বকের উজ্জ্বলতা বেড়ে যাবে।

লেবুর রস ও নারিকেলের তেল

নারিকেলের তেল ও লেবুর রস যদি একসঙ্গে ব্যবহার করা হয় তাহলে চুলের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর হয়। যেমন চুল পড়া খুশকি এ ধরনের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। এক চামচ লেবুর রসের সঙ্গে আপনি দুই থেকে তিন চামচ নারিকেল তেল মিশিয়ে নিন এরপরে এই মিশ্রণটি আলতো ভাবে আপনার চুলে লাগিয়ে নিন। লেবুর রস ও নারীকেল তেল ভালোভাবে মালিশ করতে হবে।

তারপরে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট রেখে দিতে হবে। এরপর যেকোনো একটি ভালো শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই চুলে কন্ডিশনার লাগিয়ে নেবেন এতে ফলাফল আরো ভালো পাবেন। এভাবে যদি আপনি সপ্তাহের দুই তিন দিন লেবুর রস ও নারিকেল তেল চুলে লাগান। তাহলে দেখবেন আপনার চুলের যাবতীয় সমস্যা গুলো সমাধান হয়ে যাবে।

চুল সুস্থ রাখার উপায়

আমাদের মাঝে সব মেয়েরাই চায় তাদের চুলের সৌন্দর্য বাড়াতে। আর চুলের সৌন্দর্য বাড়াতে হলে অবশ্যই চুলের যত্ন নিতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় যে দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে চুলের যত্ন নেওয়া একদম সম্ভব হয় না। তাই কিছু নিয়ম মেনে চললে আপনার চুল সব সময় সুস্থ থাকবে। আসুন তাহলে চুল সুস্থ রাখার কিছু উপায় জেনে নিই।

  1. চুলে সব সময় আপনাকে প্রাকৃতিক বা হারবাল শ্যাম্পু গুলো ব্যবহার করতে হবে তাহলে তো চুলের উজ্জ্বলতা বেড়ে যাবে।
  2. শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে তারপরে আপনাকে মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুলের উপর থেকে নিচের দিকে আছড়ে নিতে হবে বেশ কয়েকবার।
  3. ভেজা অবস্থায় চুল জোরে জোরে মোছা যাবে না চুল শুকাতে হলে অবশ্যই হালকা ভাবে তোয়ালে দিয়ে উপর থেকে নিচের দিকে মুছে নিতে হবে।
  4. গরম পানি চুল ধোয়ার সময় কখনোই ব্যবহার করবেন না এতে চুল অনেক বেশি রুক্ষ হয়ে যায় এবং চুল পড়া সমস্যা দেখা যায় সেজন্য সব সময় ঠান্ডা পানি ব্যবহার করবেন।
  5. প্রতিদিন চুলের শ্যাম্পু ব্যবহার করা যাবে না যদি অতিরিক্ত চুলে শ্যাম্পু ব্যবহার করা হয় তাহলে চুলের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট হয়ে যায় তাই দুই থেকে তিন দিন পর পর আপনাকে চুলে শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে এবং চুল পরিষ্কার রাখতে হবে।
  6. প্রতিদিন গোসল করা শেষ হলে চুল ধোয়ার পর চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন এতে আপনার চুল ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আপনারা হয়তোবা এত সময় জেনে গেছেন শ্যাম্পুর সাথে চিনি ও লেবুর ব্যবহার। এছাড়াও অ্যালোভেরা ও লেবু দিয়ে চুলের যত্ন চুল সুস্থ রাখার উপায়। এবং লেবু আর চিনি মুখে দিলে কি হয় এগুলো সম্পর্কে আপনাদের বিভিন্ন ধরনের তথ্য জানা হয়ে গেছে। আমরা চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের নামিদামি ব্র্যান্ডের তেল শ্যাম্পু কন্ডিশনার ব্যবহার করে থাকি কিন্তু তারপরও দেখা যায় যে আমরা সঠিকভাবে চুলের যত্ন নিতে পারি না।

আপনি যদি আমাদের পুরো পোস্টটা পড়েন তাহলে প্রাকৃতিকভাবে কিভাবে চুলের যত্ন নেবেন সেই সম্পর্কে তথ্য দেওয়া আছে। আশা করি আপনি অনেক বেশি উপকৃত হবেন। আজকের লেখা আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লাগে তবে প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। এবং আপনাদের যদি কোন মন্তব্য থাকে তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন।




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Setu24 নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url