মোবাইল ফোনের ব্যবহার ও অপব্যবহার রচনা

আমরা আজকে জানব মোবাইল ফোনের ব্যবহার ও অপব্যবহার রচনা। এছাড়া মোবাইল ফোনের ভালো দিক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আমরা জেনে নিব। আর জানতে হলে অবশ্যই আপনাকে পুরো পোস্টটা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত খুব মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে তাহলে আপনি জানতে পারবেন। বিজ্ঞানের বিস্ময়কর আবিষ্কার গুলোর মধ্যে প্রধান হচ্ছে মোবাইল ফোন। মোবাইল ফোনের অর্থ হচ্ছে ভ্রাম্যমাণ চলনশীল।
বর্তমানে সময়ে মোবাইল ফোন মানুষের জীবনযাত্রাকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। মানুষ সময়ে দেখা থেকে শুরু করে ক্যালকুলেটর অডিও ভিডিও ভ্রমণ শিক্ষার চিকিৎসা প্রায় সব ধরনেরই সেবা মোবাইলের মাধ্যমে পেয়ে থাকে।

ভূমিকা

বর্তমান সময়ে মোবাইল এর সাথে আমরা সবাই পরিচিত মানুষের দৈনন্দিন কাজে মোবাইল ব্যবহার হয়ে থাকে। ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোন সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে। শিক্ষার্থীরা মোবাইল দিয়ে বইয়ের পিডিএফ ডাউনলোড করে পড়তে পারে প্লে স্টোর থেকে বিভিন্ন শিক্ষামূলক অ্যাপস গুলো ডাউনলোড করতে পারে। বর্তমানে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই অন্যরকম পাঠশালা টেন মিটিং স্কুলের মত বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে ক্লাস করতে পারে।

এ যুগের কোন ছেলে মেয়েকে যদি কখনো প্রশ্ন করা হয় ডাক পিয়ন কি সে কখনো বলতে পারবে না। যদি বইয়ে না পড়ে থাকে অথবা তার পরিবারের কাছে গল্প শুনে না থাকে তাহলে কি করে তারা বলবে। পূর্বের মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে হতো সিটির মাধ্যমে ডাক পিয়ন একজনের পাঠানো চিঠি অন্যজনের নিকট পৌঁছে দিত। এছাড়া মানুষ কবিতার মাধ্যমে চিঠি আদান-প্রদান করত। এখন মোবাইল ফোন এসে আমাদের যোগাযোগ অনেক সহজ করে তুলেছে আসল মোবাইল সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জেনে নিই।

মোবাইল ফোনের ব্যবহার ও অপব্যবহার রচনা

আধুনিক কালের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে মোবাইল। পারস্পারিক যোগাযোগ ব্যবসা-বাণিজ্য কেনাকাটা লেখাপড়া ছাড়া বিভিন্ন ধরনের তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে ফোনের ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কম্পিউটার যেমন একটি আবিষ্কার ঠিক তেমনি মোবাইল এক যোগান তরী আবিষ্কার কম্পিউটারের মতন। মোবাইল ব্যবহার করার ফলে দুনিয়া মানুষের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। মোবাইলের মধ্যে যুক্ত হয়েছে ইন্টারনেট তাই মোবাইল ফোনে মানুষের জন্য ফেসবুক, মেসেঞ্জার, টুইটার, ইমেল, instagram ব্যবহার করা সহজ বাধ্য হয়েছে।

তবে মোবাইল ফোন যেমন আমাদের জীবনযাত্রা অনেক পরিবর্তন করে ফেলেছে এর কিন্তু অপব্যবহার রয়েছে আমরা জানবো। মোবাইল ফোনের অপব্যবহার সম্পর্কে যেগুলো দূরে সরিয়ে রাখতে পারলে আমাদের জীবন যাত্রা যথেষ্ট উন্নত হবে এবং সুস্থ জীবন যাপন করতে পারব। মোবাইল ফোন আপনি যদি বেশি ব্যবহার করেন তাহলে আপনি তার প্রতি আসক্ত হয়ে যাবেন যা আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই খারাপ।

মোবাইল ফোনের উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হওয়ার ফলে আপনার মনে হতাশার রাগ বিরক্তি, অধৈর্য ভাব তৈরি হতে পারে। আপনি যদি প্রয়োজনের বেশি অতিরিক্ত ফোন ব্যবহার করেন তাহলে ঘুমও নষ্ট হতে পারে যার ফলে আপনার স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়বে। এছাড়াও যারা ফোনে অনলাইনে গেম খেলে অনেক সময় দেখা যায় গেমে হেরে গিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনা তো আমরা শুনতে পাই। বিশেষ করে ব্লু ওহেল কিংবা মেমো অনলাইন গেম এর কথা আমরা সবাই শুনেছি।

মোবাইল ফোনের অপব্যবহার এর আরেকটি দিক হলো অনলাইন গেমিং ভিডিও গেম যথা রিয়েল মানি গেমিং, সোশ্যাল ক্যাসিনো খরচ করা, টোকেন বাজি ধরা কিম্বা অনলাইনে জুয়া মোবাইল গেমিং আসক্তির নিকৃষ্টতম একটি উদাহরণ। মোবাইল ফোনের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ছাত্র জীবন। একটা সময় ছিল যখন দেশের গ্রাম অঞ্চলে শিক্ষকের তেমন দেখা মিলতো না গ্রামের ছেলে মেয়েরা লেখা পড়া করার মতন পর্যাপ্ত সুযোগ পেত না। বর্তমানে মোবাইলে এসে গ্রাম থেকে ছাত্রছাত্রীরা দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষকদের ক্লাস ঘরে বসেই করতে পারে।

এছাড়াও শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের অনলাইন কোর্স করে নিজেদের কর্ম দক্ষতা বৃদ্ধি করে বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় সেবা অনলাইনে দিতে পারে। মোবাইল ফোন ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের ক্লাস করছে এবং অনলাইনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে। এছাড়াও এখন ঘরে বসে যে কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সেবা পাওয়া যায় অতীতে মাইলের পর মাইল হেঁটে গিয়ে ডাক্তার পাওয়া যেত না কিন্তু এখন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের পরামর্শ নেয়া খুবই সহজ হয়ে গেছে। এটি আপনি ঘরে বসে করতে পারবেন আপনার ফোনের মাধ্যমে।

একটা সময় ছিল যখন মানুষ হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়ি খুঁজতে হতো তবুও রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়ি খুঁজে পাওয়া যেত না। কিন্তু মোবাইল ফোন এসে আমাদের মুহূর্তের মধ্যে এম্বুলেন্স এসে হাজির হয়ে যেয়ে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য। বাংলাদেশ সরকার চালু করেছে টেলি মেডিসিন সেবা। যার মাধ্যমে গ্রাম পর্যায়ে রোগীরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ফোন করে তাদের সমস্যার কথা ডাক্তারকে বলে সেবা নিতে পারবে।

মোবাইল ফোনের ভালো দিক

আপনার কাছে যদি একটি স্মার্ট ফোন থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি ফোনের সুবিধা গুলো সম্পর্কে কিছুটা হলেও জানবেন। ফোনে যেমন সুবিধা আছে ঠিক তেমনি এর অসুবিধা ও কিছু রয়েছে। মোবাইল ফোনে অনেক সুবিধা রয়েছে সহজেই আপনি যেকোন মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন যে কোন জায়গার ম্যাপ দেখা, ছবি তোলা, ভিডিও, অডিও, গান শোনা থেকে শুরু করে ইন্টারনেট ব্রাউজার করে যে কোন প্রয়োজনে তথ্য খুঁজে বের করতে পারবেন ফোনের মাধ্যমে।

মোবাইল ফোনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা করতে পারবেন কথা বলতে পারবেন। আপনি চাইলে মোবাইলের মাধ্যমে যে কোন সাইজের ছবি ফাইল শেয়ার করতে পারবেন গান শোনা ভিডিও দেখা অডিও গেমস এগুলো আপনি মোবাইলের মাধ্যমে করতে পারবেন। আপনার হাতে যদি একটি ফোন থেকে থাকে তবে এই ফোনের মাধ্যমে বিশ্বের যে কোন দেশের তৈরি গান সিনেমা ভিডিও গুলো দেখতে পাবেন।

এখন অনেক মানুষ আছে তারা ফোনের মাধ্যমে সিনেমা দেখতে বেশি পছন্দ করে। আগে যদি কোন মানুষ মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে চাইতো তাহলে চিঠির মাধ্যমে তাকে যোগাযোগ করতে হতো। কিন্তু এখন মোবাইল ফোন এসে আপনি টেক্সট মেসেজের মাধ্যমে সহজেই চিঠি পাঠানো যাই আপনি চাইলে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অনলাইনে ক্লাস করতে পারবেন। করোনা কালীন সময়ে অনেক মানুষই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অনলাইনে ক্লাস করেছেন।

আপনার হাতে থাকা স্মার্ট ফোন দিয়ে আপনি চাইলে ইউটিউব থেকে যে কোন ট্রপিকের ওপর ক্লাস করতে পারবেন। এছাড়াও দেশ ও দেশের বাইরে বিভিন্ন প্লাটফর্ম আছে ক্লাস করার জন্য যেখান থেকে আপনি যে কোন বিষয়ের ওপর জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন। প্রথম প্রথম শুরুর দিকে যোগাযোগ করার জন্য টেলিফোনের ব্যবহার করা হতো কিন্তু এখন মোবাইল ফোন দিয়ে বিশ্বের যে কোন প্রান্তে যোগাযোগ করা খুব সহজ হয়ে গেছে।

ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা

আজকাল দেখা যায় প্রতিটি মানুষের হাতে একটি করে স্মার্ট ফোন রয়েছে। ছোট্র থেকে শুরু করে সব বয়সী মানসিক স্মার্টফোন ব্যবহার করে। স্মার্ট ফোন মূলত একজন ছাত্রের জন্য কিছু ক্ষেত্রে কাজে লাগে যেমন ধরেন আপনি যদি চান অনলাইনে মাধ্যমিক ক্লাস করতে পারবেন। ইন্টারনেটে থেকে বিভিন্ন তথ্য ব্যবহার করতে পারবেন ই-বুক ব্যবহার করতে পারবেন ইত্যাদি বিভিন্ন কাজে আপনি ফোন ব্যবহার করতে পারবেন।

ছাত্র জীবনে বইয়ের জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে ইন্টারনেট চালানো থেকে শুরু করে অনলাইনে অনেক কাজই তারা করতে পারবে। এখন তো অনলাইনে ক্লাস করার জন্য প্রায় প্রতিটি ছাত্রের কাছেই একটি করে স্মার্ট ফোন থাকা খুবই জরুরী। একজন ছাত্রের মোবাইল ফোন ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক নয় তবে সবাই স্মার্টফোন ব্যবহার করে। স্মার্ট ফোন ছাত্র জীবনে শুধুমাত্র অনলাইন ক্লাস হলে তখনই বেশি প্রয়োজন বা দরকার হয় আবার কখনো ই-বুক নিয়ে মোবাইল পড়লে সেটাও দরকার হতে পারে।

মোবাইল ফোন অতিরিক্ত বা অপব্যবহার করে। অনেকে দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের গেমসে আসক্ত হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি সময় দেয় এজন্য তাদের পড়াশোনার উপরে কোন মনোযোগ থাকে না। বেশি সময় ধরে যদি মোবাইল ফোন ব্যবহার করা হয় তাহলে সোশ্যাল মিডিয়ার পতি আসক্তি এসে পড়ে। আধুনিক যুগে আমাদের কোনো না কোনো কাজে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা হয়। কিন্তু মোবাইল ফোন আমাদের জীবনে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি করছে তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে ছাত্র জীবনে।

মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী প্রতিটি ব্যক্তি দিনের বেশিরভাগ সময়ে ফোনের পিছনে সময় দিয়ে থাকে যার ফলে মানব শরীরেরও ক্ষতি হয় এছাড়া মানসিক স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হয়। আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রের একটি ক্যান্সার সোসাইটি ওয়েবসাইটের তথ্য সম্ভাবনায় রয়েছে রিসার্চ অনুযায়ী মোবাইল ফোন থেকে একটি তেজস্ক্রিয় বিক্রিয়া নিঃসৃত হয় যা মানব শরীরে ক্ষতির আশঙ্কা অনেক বেশি বাড়িয়ে দেয়। অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে ব্রেন টিউমার, গলা ব্যথা, ঘাড় ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। চোখের সমস্যা মস্তিষ্কের ক্ষতি কানে কম শোনা ঘুমের সমস্যা এ ধরনের সমস্যাগুলো বেশি দেখা যায় সেজন্য আমাদের উচিত মোবাইল ফোন একটুও কম ব্যবহার করা।

মোবাইল ফোনের পাঁচটি ব্যবহার লিখ

মোবাইল ব্যবহার করে না এ যুগে এমন মানুষ কমই রয়েছে বিনোদন কাজকর্ম যোগাযোগ সামাজিক ইত্যাদি সব ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের ব্যবহার করা হয়েছে বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন ছাড়া মানুষ নিজেদের জীবন কল্পনাও করতে পারে না। বর্তমানে মোবাইল ফোন বলতে মূলত সেই শক্তিশালী স্মার্টফোন গুলোকে বোঝানো হয়েছে।

যেটি একটি কম্পিউটারের মতন শক্তিশালী প্রন দ্বারা মনোরঞ্জন ভিডিও কলিং টেক্সট গেমিং ইন্টারনেট ব্যবহার ইত্যাদি সহ বিভিন্ন ধরনের কাজ করা সম্ভব যেগুলো মানুষ কখনোই কল্পনা করতে পারেনি মোবাইল ফোন আমাদের জীবনকে অনেক বেশি সহজ করে দিয়েছে কেননা আমরা আমাদের মোবাইলের মাধ্যমে যেকোনো সময় যেকোনো কাজ করতে পারছি। আসুন তাহলে আমরা আজকে মোবাইল ফোনের পাঁচটি ব্যবহার সম্পর্কে জানবো।

  • মোবাইল ফোন যোগাযোগের মাধ্যম
  • বিনোদন
  • ছবি এবং ভিডিও
  • মোবাইল ব্যাংকিং
  • মোবাইল দিয়ে ইনকাম

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আপনি এত সময় জেনে গেছেন মোবাইল ফোনের ব্যবহার ও অপব্যবহার সম্পর্কে। এছাড়া মোবাইল ফোনের ভালো দিক কোনগুলো ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা বিভিন্ন ধরনের তথ্য সম্পর্কে আপনার জানা হয়ে গেছে। মোবাইল ফোন আমাদের জীবনযাত্রাকে অনেক বেশি সহজ করে তোলেছে। প্রত্যেকটা জিনিসের যেমন ভালো দিক রয়েছে ঠিক তেমনি তার কিছু খারাপ দিকও রয়েছে।

মোবাইল ফোন আমাদের যেমন দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করা হয় ঠিক তেমনি কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির প্রধান কারণ হয় মোবাইল ফোন। এজন্য আমাদের উচিত প্রয়োজনের বেশি কখনোই মোবাইল ফোন ব্যবহার না করা। আপনি যদি আমাদের পুরো পোস্টটা পড়েন তাহলে অনেক বেশি উপকৃত হবেন। আজকের লেখা আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লাগে তবে প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। এবং আপনাদের যদি কোন মন্তব্য থাকে তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Setu24 নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url